চকরিয়ার ১২ নিরীহ দিনমজুর কাজের সন্ধানে গিয়ে ডাকাতি মামলার আসামি
চকরিয়া উপজেলার ১২ দিন মজুরকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ডাকাত সাজিয়ে আটক করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১১ আগষ্ট একটি দেশীয় বন্দুক, দুইটি কার্তুজ, দুইটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি কিরিচসহ আটক দেখিয়ে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, আটককৃতরা ডাকাত নয়, দিন মজুরি কাজ করতে গেলে তাদেরকে জমির বিরোধের জের ধরে ডাকাত সাজানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের আয় উপার্জনের একমাত্র লোক কাজের খুঁজে গিয়ে জেল হাজতে যাওয়ায় এসব দিনমজুরদের পরিবারে চরম হতশা নেমে এসেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ১০ আগষ্ট বিকাল ২ টায় ওই ১২ দিন মজুর বাস থেকে নেমে কাজের খোঁজে আধুনগর বাজারে গিয়ে উঠে। এ সময় উপজেলার আধুনগর এলাকার সর্দানী পাড়ার মোহাম্মদ হারুন প্রকাশ বড়ি বিল্ডার হারুন চকরিয়ার মিজান নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে দৈনিক ৫ শত টাকা মজুরি ধার্য করে ধানের চারা লাগানোর কাজ করতে দিনের ৩টায় তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরদিন থেকে ধানের চারা লাাগনোর কথা। রাতে খাবার শেষে সবাই ঘুমানোর প্রস্তুতি কালে রাত ১০ টার দিকে লোহাগাড়া থানার পুলিশ গিয়ে হারুনের বাড়ী ঘেরাও করে। লোহাগাড় থানার ওসি’র বিরুদ্ধে হারুনের মামলা আছে। এতে পুলিশ দেখে ওই পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়। এরপর কিছু বুঝে উঠতে না পেরে দিনমজুরেরাও পালিয়ে যায়। তাদের তাড়া করে পাশ^বর্তী বড়হাতিয়া এলাকার মগদিগীর পাড় এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। একসাথে এত লোকের উপস্থিতিতে ওই এলাকার লোকেরাও তাদের ডাকাত বলে সন্দেহ করে। হারুনের জমির বিরুধীয় লোকজন ওই দিন মজুরদেরকে ধরে বড় হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই পুলিশ তাদের অস্ত্রসহ উদ্ধার নাটক সাজায়।
লোহাগাড়া থানা হাজতে দিন মজুরদের ডাকাতির স্বীকারোক্তি নেয়ার জন্য রাতভর মারধর করা হয় বলে বিশ^স্থসুত্রে জানা গেছে। মোহাম্মদ হারুন বলেন, তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও তার ১৬ কাণি জমি চাষাবাদ করার জন্য চারা রোপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। সেই কারনে ওই দিনমজুরদে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিকে গতকাল এই প্রতিবেদক চকরিয়ার বিএমচরের দিন মজুরদের বাড়ীতে গেলে কান্নার রোল পড়ে যায়। বাড়ীর একমাত্র উপার্জনক্ষম কর্তাকে আটকের খবরে সকলেই হতাশ হয়ে পড়েছে। ওইদিন কারো কারো চুলোয় আগুনও জ¦লেনি।
আটককৃতরা হলো চকরিয়া বিএমচরের হাসি সিকদারপাড়া, পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের কালা গাজী সিকদার পাড়া ও চরপাড়ার কুতুব উদ্দীনের পুত্র মোশাররফ হেসেন, শাহ আলমের পুত্র সাইফুল ইসলাম প্রকাশ শা’দ উল্লাহ, সিদ্দিক আহমদের পুত্র হুমায়ুন কবির, মৃত শামসুল আলমের পুত্র রিদুয়ান, মৃত আলী হোসেনের পুত্র মোক্তার আহমদ, ছৈয়দ মনির আহমদের পুত্র সিরাজ মনির আরফাত, মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র আলী হোসেন, মোস্তাক আহমদের পুত্র নাছির উদ্দীন, মৃত শামসুল আলমের পুত্র জয়নাল আবেদীন, আহমদ হোসেনের পুত্র আরফাত, মৃত জয়নুল আবেনদীনের পুত্র সাইফুল ইসলাম ও কৈয়ারবিল আনোয়ার হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ আলমগীর।
আধুনগর সর্দারনি পাড়ার মোহাম্মদ হারুন জানিয়েছেন; গত ২ মাস আগে আমি লোহাগাড়া থানার ওসি ও কয়েকজন এসআইয়ের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও তার ছোটভাইকে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগে কোর্টে মামলা দু’টি মামলা করি। সেই থেকে থানার ওসি আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওসি আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার জায়গা জমির বিরোধ আছে এমন স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সাহায্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম বলেন, আধুনগর সর্দারনি পাড়ার মোহাম্মদ হারুন ও তার ভাইয়ের সাথে মামলা আছে। কিন্তু অভিযানের রাতে ওই ১২জন লোক হারুনের বাড়ীতে অবস্থান করছিল। এলাকার লোকজন তাড়া করে তাদের অস্ত্রসহ ধরে পুলিশে দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে দু’টি মামলা নিয়ে কোর্টে চালান দিয়েছি।
চকরিয়া উপজেলার ১২ দিন মজুরকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ডাকাত সাজিয়ে আটক করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১১ আগষ্ট একটি দেশীয় বন্দুক, দুইটি কার্তুজ, দুইটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি কিরিচসহ আটক দেখিয়ে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, আটককৃতরা ডাকাত নয়, দিন মজুরি কাজ করতে গেলে তাদেরকে জমির বিরোধের জের ধরে ডাকাত সাজানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের আয় উপার্জনের একমাত্র লোক কাজের খুঁজে গিয়ে জেল হাজতে যাওয়ায় এসব দিনমজুরদের পরিবারে চরম হতশা নেমে এসেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ১০ আগষ্ট বিকাল ২ টায় ওই ১২ দিন মজুর বাস থেকে নেমে কাজের খোঁজে আধুনগর বাজারে গিয়ে উঠে। এ সময় উপজেলার আধুনগর এলাকার সর্দানী পাড়ার মোহাম্মদ হারুন প্রকাশ বড়ি বিল্ডার হারুন চকরিয়ার মিজান নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে দৈনিক ৫ শত টাকা মজুরি ধার্য করে ধানের চারা লাগানোর কাজ করতে দিনের ৩টায় তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরদিন থেকে ধানের চারা লাাগনোর কথা। রাতে খাবার শেষে সবাই ঘুমানোর প্রস্তুতি কালে রাত ১০ টার দিকে লোহাগাড়া থানার পুলিশ গিয়ে হারুনের বাড়ী ঘেরাও করে। লোহাগাড় থানার ওসি’র বিরুদ্ধে হারুনের মামলা আছে। এতে পুলিশ দেখে ওই পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়। এরপর কিছু বুঝে উঠতে না পেরে দিনমজুরেরাও পালিয়ে যায়। তাদের তাড়া করে পাশ^বর্তী বড়হাতিয়া এলাকার মগদিগীর পাড় এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। একসাথে এত লোকের উপস্থিতিতে ওই এলাকার লোকেরাও তাদের ডাকাত বলে সন্দেহ করে। হারুনের জমির বিরুধীয় লোকজন ওই দিন মজুরদেরকে ধরে বড় হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই পুলিশ তাদের অস্ত্রসহ উদ্ধার নাটক সাজায়।
লোহাগাড়া থানা হাজতে দিন মজুরদের ডাকাতির স্বীকারোক্তি নেয়ার জন্য রাতভর মারধর করা হয় বলে বিশ^স্থসুত্রে জানা গেছে। মোহাম্মদ হারুন বলেন, তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও তার ১৬ কাণি জমি চাষাবাদ করার জন্য চারা রোপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। সেই কারনে ওই দিনমজুরদে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিকে গতকাল এই প্রতিবেদক চকরিয়ার বিএমচরের দিন মজুরদের বাড়ীতে গেলে কান্নার রোল পড়ে যায়। বাড়ীর একমাত্র উপার্জনক্ষম কর্তাকে আটকের খবরে সকলেই হতাশ হয়ে পড়েছে। ওইদিন কারো কারো চুলোয় আগুনও জ¦লেনি।
আটককৃতরা হলো চকরিয়া বিএমচরের হাসি সিকদারপাড়া, পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের কালা গাজী সিকদার পাড়া ও চরপাড়ার কুতুব উদ্দীনের পুত্র মোশাররফ হেসেন, শাহ আলমের পুত্র সাইফুল ইসলাম প্রকাশ শা’দ উল্লাহ, সিদ্দিক আহমদের পুত্র হুমায়ুন কবির, মৃত শামসুল আলমের পুত্র রিদুয়ান, মৃত আলী হোসেনের পুত্র মোক্তার আহমদ, ছৈয়দ মনির আহমদের পুত্র সিরাজ মনির আরফাত, মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র আলী হোসেন, মোস্তাক আহমদের পুত্র নাছির উদ্দীন, মৃত শামসুল আলমের পুত্র জয়নাল আবেদীন, আহমদ হোসেনের পুত্র আরফাত, মৃত জয়নুল আবেনদীনের পুত্র সাইফুল ইসলাম ও কৈয়ারবিল আনোয়ার হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ আলমগীর।
আধুনগর সর্দারনি পাড়ার মোহাম্মদ হারুন জানিয়েছেন; গত ২ মাস আগে আমি লোহাগাড়া থানার ওসি ও কয়েকজন এসআইয়ের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও তার ছোটভাইকে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগে কোর্টে মামলা দু’টি মামলা করি। সেই থেকে থানার ওসি আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওসি আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার জায়গা জমির বিরোধ আছে এমন স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সাহায্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম বলেন, আধুনগর সর্দারনি পাড়ার মোহাম্মদ হারুন ও তার ভাইয়ের সাথে মামলা আছে। কিন্তু অভিযানের রাতে ওই ১২জন লোক হারুনের বাড়ীতে অবস্থান করছিল। এলাকার লোকজন তাড়া করে তাদের অস্ত্রসহ ধরে পুলিশে দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে দু’টি মামলা নিয়ে কোর্টে চালান দিয়েছি।
No comments:
Post a Comment