সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আমাদের পথ চলা

Breaking News

Wednesday, August 23, 2017

চকরিয়ার হারবাংয়ে মাদকাসেবীর প্রতিবাদ করায় মামলার আসামী ইউপি সদস্যসহ দুই পুত্র

 চকরিয়া উপজেলার হারবাং বাসষ্টেশন এলাকায় বখাটে,সন্ত্রাসী ও মাদকাসেবীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলার আসামী হয়েছেন আওয়ামী পরিবারের এক ইউপি সদস্যসহ তার দুই পুত্র। এনিয়ে মাদকাসক্ত বহিরাগত ওই যুবকের বিরুদ্ধের আইন ব্যবস্থা নিতে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তও হয়েছে। 
হারাবং ইউনিয়ন পরিষদের সভার কার্যবিবরী সূত্রে জানাগেছে, হারবাং বাসষ্টেশন এলাকায় গত ৯আগষ্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক একটি গাড়ীতে বসে ইয়াবা ও গাড়ী সেবন করে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বসে আছে। স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বাসষ্টেশনস্থ স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড এমইউপি ও বাসষ্টেশন ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি গোলাম ছাত্তারকে একজন গ্রাম পুলিশ নিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন। ইউপি সদস্য গোলাম ছাত্তার তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌছে টচ লাইটের আলো দিয়ে দেখার সাথে সাথে মাদকাসক্ত যুবক গাড়ী থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা তাকে ধৃত করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই যুবক তাৎক্ষনিকভাবে ইয়াবা ও গাজা সেবনের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং তার পরিচয় লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রশিদারবিল গ্রামের মো: আলমগীর ও তার পিতা মৃত আবদুল কাদের বলে উপস্থিত সকলের সম্মুকে জানান। আলমগীর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধৃত হওয়ার পর হারবাং পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেনের কাছে (পুলিশ ফাড়িতে) সোপর্দ্দ করেন। পুলিশ তাকে সংশ্লিষ্ট আইনে আদালতে না পাঠিয়ে রাতের অন্ধকারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৯আগষ্ট’র স্থলে ১০ আগষ্ট রাত সাড়ে ৯টায় ঘটনা দেখিয়ে এবং পরদিন ১১ আগষ্ট চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি দেখিয়ে গত ১৭ আগষ্ট’১৭ইং চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলা (নং সিআর ১০৪৩/১৭) দায়ের করে। ওই মামলায় আসামী করা হয়েছে হারবাং ইউপি সদস্য ও হারবাং ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি গোলাম ছাত্তার এবং তার দুই পুত্র হারবাং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মো: লোকমানকে। এছাড়াও মামলায় বখাটে মাদকাসক্ত যুবক আলমগীরের কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এনিয়ে গত ২০আগষ্ট দুপুর ২টায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরানুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইউপি সচিব সালাহউদ্দিন কাদেরের সঞ্চালনায় ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সবঘটনাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী পরিবার ও জনপ্রতিনিধি ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এধরণের মিথ্যা মামলা হতে থাকলে ভবিষ্যতে মাদকাসক্ত, নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি, ইয়াবা ব্যবসায়ী, কিংবা সিন্ডিকেটসহ কোন অপরাধের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিরা সোচ্ছার হতে পারবেনা। তাই অবিলম্বে ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ও সদস্যা যথাক্রমে আমিনা খাতুন, শমশুন নাহার, মজমুন নাহার, কামাল উদ্দিন, বাবুল আহমদ, জসিম উদ্দিন, হারুনর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, ইলিয়াছ আহমদ, গোলাম ছত্তর, মো: ছৈয়দ নুর ও মো: ইসমাইল

No comments:

Post a Comment