সু চির ভাষণের সমালোচনায় বিশ্ব নেতারা
চকরিয়া প্রতিনিধি ঃ
রোহিংগাদের উপর নিপীড়নের কথা অস্বীকার করে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু চির দেয়া মঙ্গলবারের বক্তব্যের সমালোচনা করছেন বৈশ্বিক নেতারা। গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সহিংসতার জেরে ৪ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।
মঙ্গলবার রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্ভূত সংকটের বিষয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মিয়ানমারের ‘স্টেট কাউন্সেলর’ অং সান সু চি। ভাষণে তিনি বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বরের পরে রাখাইনে সামরিক অভিযান বন্ধ আছে। যদিও বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেখা গেছে নাফ নদীর ওপারে আগুন জ্বলছে। রোহিংগাদেরও আসাও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন, বেশিরভাগ মুসলিম মিয়ানমারেই রয়ে গেছেন তাই এতে বোঝা যায় পরিস্থিতি গুরুতর নয়। তিনি দাবি করেন, দেশটির মুসলিমদের জীবনযাত্রার মান উন্নতিকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে তার সরকার। এছাড়া যাচাই-বাছাই করে শরণার্থীদের ফেরত নেয়ার কথা বলেন তিনি।
এই বক্তব্যের পরে তার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র নেতারা সু কির সঙ্গে কথা বলেন এবং বিবৃতি প্রদান করেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন সু চির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তিনি শরণার্থীদের ফেরত নেয়ার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন এবং ত্রাণ দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জাতিসংঘে দেয়া বক্তব্যে বলেন, মিয়ানমারে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে, ত্রাণ সরবরাহ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং যেখানে জাতিগত হত্যাযজ্ঞ চলছে সেটি বন্ধ করে আইনের শাসন চালু করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই সহিংসতা বন্ধে ও ত্রাণ সরবরাহ চালু করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ম্যাক্রোর সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলেন, রাখাইনে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং বহুদিন ধরে অনিশ্চয়তায় জীবনযাপন করে আসা রোহিংগাদের কষ্টের অবসান ঘটনা হবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যদি মিয়ানমারে অব্যাহত ট্রাজেডির অবসান না ঘটানো হয় তাহলে মানবতার জন্য এটি হবে লজ্জার এবং ইতিহাসে একটি কালো দাগ।
ইইউয়ের মুখপাত্র বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কূটনীতিবিদদের সফরের আমন্ত্রণ এক ধাপ অগ্রগতি কারণ এসব জায়গায় সরকার আগে কূটনীতিকদের প্রবেশ করতে দিত না। ওই মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বকে প্রদর্শন করতে হবে যে গণতন্ত্রের জন্য তারা এত দীর্ঘ লড়াই করেছে তা সব জাতিগোষ্ঠী, সমাজ ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য সমানভাবে সুফল বয়ে আনবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে। সহিংসতার প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ বাতিল করছে।
||বিবিসি
চকরিয়া প্রতিনিধি ঃ
রোহিংগাদের উপর নিপীড়নের কথা অস্বীকার করে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু চির দেয়া মঙ্গলবারের বক্তব্যের সমালোচনা করছেন বৈশ্বিক নেতারা। গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সহিংসতার জেরে ৪ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।
মঙ্গলবার রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্ভূত সংকটের বিষয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মিয়ানমারের ‘স্টেট কাউন্সেলর’ অং সান সু চি। ভাষণে তিনি বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বরের পরে রাখাইনে সামরিক অভিযান বন্ধ আছে। যদিও বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেখা গেছে নাফ নদীর ওপারে আগুন জ্বলছে। রোহিংগাদেরও আসাও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন, বেশিরভাগ মুসলিম মিয়ানমারেই রয়ে গেছেন তাই এতে বোঝা যায় পরিস্থিতি গুরুতর নয়। তিনি দাবি করেন, দেশটির মুসলিমদের জীবনযাত্রার মান উন্নতিকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে তার সরকার। এছাড়া যাচাই-বাছাই করে শরণার্থীদের ফেরত নেয়ার কথা বলেন তিনি।
এই বক্তব্যের পরে তার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র নেতারা সু কির সঙ্গে কথা বলেন এবং বিবৃতি প্রদান করেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন সু চির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তিনি শরণার্থীদের ফেরত নেয়ার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন এবং ত্রাণ দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জাতিসংঘে দেয়া বক্তব্যে বলেন, মিয়ানমারে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে, ত্রাণ সরবরাহ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং যেখানে জাতিগত হত্যাযজ্ঞ চলছে সেটি বন্ধ করে আইনের শাসন চালু করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই সহিংসতা বন্ধে ও ত্রাণ সরবরাহ চালু করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ম্যাক্রোর সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলেন, রাখাইনে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং বহুদিন ধরে অনিশ্চয়তায় জীবনযাপন করে আসা রোহিংগাদের কষ্টের অবসান ঘটনা হবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যদি মিয়ানমারে অব্যাহত ট্রাজেডির অবসান না ঘটানো হয় তাহলে মানবতার জন্য এটি হবে লজ্জার এবং ইতিহাসে একটি কালো দাগ।
ইইউয়ের মুখপাত্র বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কূটনীতিবিদদের সফরের আমন্ত্রণ এক ধাপ অগ্রগতি কারণ এসব জায়গায় সরকার আগে কূটনীতিকদের প্রবেশ করতে দিত না। ওই মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বকে প্রদর্শন করতে হবে যে গণতন্ত্রের জন্য তারা এত দীর্ঘ লড়াই করেছে তা সব জাতিগোষ্ঠী, সমাজ ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য সমানভাবে সুফল বয়ে আনবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে। সহিংসতার প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ বাতিল করছে।
||বিবিসি
No comments:
Post a Comment